মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৯

বাটোয়ারা আইন এবং কিভাবে ভাগবন্টন করা যায়

এজমালি সম্পত্তি আইন অনুসারে প্রাপ্য অংশ নিজেরা আপোষমূলে কিংবা সালিসের মাধ্যমে বা আদালতের মাধ্যমে ভাগবন্টনের প্রক্রিয়াকে বুঝায়। মুসলিম আইন অনুযায়ী বা ফরায়েজ অনুযায়ী এজমালি সম্পত্তি সহ-শরীকদের মধ্যে সরসে নিরসে ভাগ বন্টন করে নেয়ার নামই বাটোয়ারা।

কিভাবে ভাগবন্টন করা যায়:
ইহা আদালত বা শালিসির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। যদি কোন পক্ষ এভাবে বাটোয়ারায় সম্মত না হয় তাহলে এক বা একাধিক ব্যক্তি উপযুক্ত আদালতে বাটোয়ারা মোকদ্দমা দায়েরের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পন্ন হবে। 

বাটোয়ারা আইনের সাধারণ বিষয়াবলি এবং এ সম্পর্কে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত:

  • বাটোয়ারা একটি অধিকার: এজমালি সম্পত্তির একজন সহ-মালিক অধিকার হিসাবে উক্ত সম্পত্তির বাটোয়ারা দাবি করতে পারে। যদি কোন সহ-মালিক অধিকার হিসাবে উক্ত সম্পত্তির অত্র যৌথ সম্পত্তি বিভাজনে বন্টনে অস্বীকার করে, তখন বন্টন দাবিকারী সহ-মালিক বাটোয়ারার জন্য মামলা দায়ের করতে পারবে।
  • দখলকারকে বহিষ্কারের ক্ষেত্রে:  একজন সহ-শরীক যদি কোন যৌথ সম্পত্তির একটি সুনির্দিষ্ট অংশে দখলদার থাকে তবে তাকে বহিষ্কার করতে হলে সম্পত্তির বন্টন আবশ্যক, (পি.এল.জে-১৯০০ লাহোর পৃষ্ঠা ২৩৪)।
  • সহমালিকের একচ্ছত্র দখল: যদি কোন যৌথ সম্পত্তির একটি সুনির্দিষ্ট অংশের সম্পত্তির একটি সুনির্দিষ্ট অংশের একজন সহ-মালিক একচ্ছত্র দখলদার হয়, তবে অন্যান্য সহ অংশীদারকে তার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। অন্যথায় বাটোয়ারার মাধ্যমে তা সরসে নিরসে বন্টন করে তার মিমাংসা করতে পারে।
  • কোন সহ-শরীক ইমারত নির্মাণের মাধ্যমে সম্পত্তির উন্নয়ন এবং সেক্ষেত্রে বাটোয়ারা:  কোন সহশরীক  ইমারত নির্মাণের মাধ্যমে সম্পত্তির উন্নয়ন করল। সেক্ষেত্রে বাটোয়ারার সময়ে এক্যুইটির নীতি অনুসৃত হয় এবং উক্ত সহশরীককে  উল্লেখিত অংশটুকু দেবার জন্য তাগিদ অনূভূত হয়।
  • বাটোয়ারায় নাবালকের অবস্থান: আদলত কোন নাবালকের সাথের্থ বাটোয়ার বাতিল করে দিতে পারেন। বাটোয়ারা ন্যায্য হলে তা নাবালকের উপর কার্যকর।
  • সহ-শরীকের বেদখলের ক্ষেত্রে:  বাটোয়ারা মোকদ্দমায় বাদী যেখানে দখলচূত, সেখানে প্রতিকার পেতে হলে বাটোয়ারা মোকদ্দমা করতে হবে।
  • স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে: স্থাবর-অস্থাবর উভয় সম্পত্তি বাটোয়ারা যোগ্য। অস্থাবর সম্পত্তি বাটোয়ারার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন হয় না। যদি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি  একই সাথে অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং বাটোয়ারার দলিল রেজিস্ট্রার্ড না হয় এমনকি অস্থাবর সম্পত্তির দাবির স্বপক্ষে সমর্থনযোগ্য নয়। যদি বাটোয়ারা অস্থাবর সম্পত্তি অভিভাজ্য এবং অস্থাবর সম্পত্তি যদি আলাদা হয় সেক্ষেত্রে ভিন্ন কথা।
  • বাটোয়ারা দলিলের পক্ষ: যৌথ সম্পত্তির সকল সহ-শরীকরা বাটোয়ারার পক্ষে হবে। নাবালকের অভিভাবকগণ তাদের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাদের আভিভাববকদের নাবালকের উক্ত সম্পত্তিতে ন্যায্য ও ন্যায়পর হয় অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে তারা সাবালকে পৌছলে মেনে নেবে। এর বিপরীত অবস্থা দৃষ্টে উক্ত বাটোয়ার অমান্য বা ভঙ্গ করতে পারে।
বাটোয়ারা বিষয়ে আর ও জানতে মন্তব্য করুন বা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, আমাদের  অনেকের আইনের বিষয় সুস্পষ্ট ধারনা না থাকার কারনে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হই তাই আপনি চালে শেয়ার করে সবাইকে জানাতে পারেন।  

৩টি মন্তব্য:

  1. বন্টন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। যা পুর্বে জানা ছিলো না ‌। ধন্যবাদ।

    উত্তরমুছুন
  2. আমি একটা জিনিস বুঝতে পারিনি তা হলো এজমালি সম্পত্তি বলতে কি বুঝানো হয়েছে?

    উত্তরমুছুন