উত্তরাধিকার আইন:
উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয় সম্পত্তি যারা ভোগ করার অধিকারী তারাই হল উত্তরাধিকারী। সুন্নী অধ্যষিত এই দেশের মুসলিমদের বিয়ে, দেনমোহর, তালাক, হেবা, ওয়াকফ, উইল, খোরপোষ, অভিভাবকত্ব উত্তরাধিকার ইত্যাদি বিষয়গুলো মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এখানে কেবল মুসলিম উত্তরাধিকার আইন নিয়ে আলোচনা করা হল। হিন্দু ও খ্রিষ্টান উত্তরাধিকার আইন নিয়ে অন্য কোন সময় আলোচনা করবো।
কোন মুসলমানের মৃত্যুর পর তার ত্যাজ্য সম্পত্তি থেকে (ক) মৃত্যুশয্যাকালীন ও দাফন-কাফনের খরচ (খ) মৃত্যুর তিন মাস পূর্ব পর্যন্ত সেবা শুশ্রষার খরচ (গ) ঋণ পরিশোধ (ঘ) উইল বা দান থাকলে সে সম্পত্তি পরিশোধের পর যে সম্পত্তি থাকবে সে সম্পত্তি মৃতের রেখে যাওয়া উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টিত হবে।
১ে) পিতা (২) মাতা (৩) স্বামী বা স্ত্রী (৪) কন্যা (৫) পুত্র (৬) পিতামহ (৭) মাতামহী (৮) পুত্রের কণ্যা (৯) পূর্ণ বোন (১০) বৈপিত্রেয় বোন (১১) বৈপিত্রেয় ভাই (১২) বৈমাত্রেয় বোন।
(ক) অংশীদার ও অবশেষভোগী ব্যতীত মৃতের বংশধর;
(খ) অংশীদার ও অবশেষভোগী ব্যতীত মৃতের পূর্বপুরুষ;
(গ) অংশীদার ও অবশেষভোগী ব্যতীত মৃতের মাতা-পিতার বংশধর;
(ঘ) অংশীদার ও অবশেষভোগী ব্যতীত পিতামহ ও মাতামহীদের বংশধর।
উত্তরাধিকারযোগ্য সম্পত্তি ও উত্তরাধিকারের শেণী:
কোন মুসলমানের মৃত্যুর পর তার ত্যাজ্য সম্পত্তি থেকে (ক) মৃত্যুশয্যাকালীন ও দাফন-কাফনের খরচ (খ) মৃত্যুর তিন মাস পূর্ব পর্যন্ত সেবা শুশ্রষার খরচ (গ) ঋণ পরিশোধ (ঘ) উইল বা দান থাকলে সে সম্পত্তি পরিশোধের পর যে সম্পত্তি থাকবে সে সম্পত্তি মৃতের রেখে যাওয়া উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টিত হবে।উত্তরাধিকার বা ওয়ারিশ: মুসলিম আইনে তিন ধরনের অংশীদার রয়েছে, দেখুনঃ
(১) প্রথম শ্রেণীর অংশীদার-কোরানী ওয়ারিশ: পবিত্র কোরানের নির্দেশ, হাদিসের ব্যাখ্যায় এবং ইজমার সমর্থনে যাদের অংশ নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে তারাই হলেন অংশীদার। এদের বলে জুল কোরান বা কোরানী ওয়ারিশ। এরা মিরাসযোগ্য ( Heritable property) সম্পত্তি হতে নির্দিষ্ট অংশ পেয়ে থাকে। এদের সংখ্যা ১২জন । এরা দু’টি সম্পর্ক হতে আগত, তা হলঃ (ক) রক্ত সম্পর্কীয় ও (খ) বিবাহ সম্পর্কীয়। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং ৮ জন মহিলা। এরা সবার আগে সম্পত্তি পাবে। এদের মধ্যে আবার ৫ জন সম্পত্তি প্রাপ্তি হতে কখনো বঞ্চিত হবে না, তারা হলেনঃ ১ে) পিতা (২) মাতা (৩) স্বামী বা স্ত্রী (৪) কন্যা (৫) পুত্র।
প্রথম শ্রেণীর ১২ জন উত্তরাধিকারী হলেন:১ে) পিতা (২) মাতা (৩) স্বামী বা স্ত্রী (৪) কন্যা (৫) পুত্র (৬) পিতামহ (৭) মাতামহী (৮) পুত্রের কণ্যা (৯) পূর্ণ বোন (১০) বৈপিত্রেয় বোন (১১) বৈপিত্রেয় ভাই (১২) বৈমাত্রেয় বোন।
(২) দ্বিতীয় শ্রেণীর অংশীদার-আসাবা(রেসিডুয়ারী):
আসাবা বা অবশেষ প্রাপক (Residuary) শব্দের অর্থ অবশিষ্টাংশ ভোগী। মুসলিম উত্তরাধিকার আইনের ৬১ ধারায় অবশিষ্টাংশ ভোগী বলতে তাদের বুঝানো হয়েছে যারা সম্পত্তির কোন নির্ধারিত অংশ পান না তবে অংশীদারদের নির্ধারিত অংশ বন্টনের পর সম্পত্তি অবশিষ্ট থাকলে তারা উক্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন।(৩) তৃতীয় শ্রেণীর অংশীদার -দূরবর্তী জ্ঞাতি (সুন্নী):
দূরবর্তী জ্ঞাতি ৪ প্রকার, যথা-(ক) অংশীদার ও অবশেষভোগী ব্যতীত মৃতের বংশধর;
(খ) অংশীদার ও অবশেষভোগী ব্যতীত মৃতের পূর্বপুরুষ;
(গ) অংশীদার ও অবশেষভোগী ব্যতীত মৃতের মাতা-পিতার বংশধর;
(ঘ) অংশীদার ও অবশেষভোগী ব্যতীত পিতামহ ও মাতামহীদের বংশধর।
ফারায়েজ অনুসারে প্রথম শ্রেণীর অংশীদারগণের ফারায়েজ নীতি
(১) পিতা: (ক) সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকলে পিতা ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ প্রাপক হবে।
(খ) মৃত ব্যক্তি নিঃসন্তান হলে পিতা ২/৩ (তিন ভাগের দুই) অংশ পাবে (সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকলে অপর ওয়ারিশদের প্রাপ্য অংশ দেয়ার পর পিতা অবশিষ্ট সম্পত্তির অবশেষ বা আসাবা (Residuary) প্রাপক হবে।
(২) মাতা: (ক) মৃতের সন্তান থাকলে ও ভাই বোন থাকলে ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ পাবে।
(খ) মৃত ব্যক্তি নিঃসন্তান হলে এবং ১ জনের বেশি ভাই বোন না থাকলে মাতা ১/৩ (তিন ভাগের এক) অংশ পাবে।
(গ) মৃতের সন্তান না থাকলে, ভাই বোন না থাকলে েএবং মৃত ব্যক্তি পুরুষ হলে তার স্ত্রী ও পিতার অংশ দেয়ার পর অবশিষ্ট সম্পত্তির ১/৩ (তিন ভাগের এক) অংশ মাতা পাবে।
(ঘ) মৃত ব্যক্তি স্ত্রী হলে তার স্বামীর অংশ দেয়ার পর মাতা অবশিষ্ট সম্পত্তির পিতা ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ প্রাপক হবে।
(৩) (i) স্বামী: (ক) সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকলে স্বামী ১/৪ (চার ভাগের এক) অংশ পাবে।
(খ) সন্তান বা পুত্রে সন্তান না থাকলে স্বামী ১/২ (দুই ভাগের এক) অংশ পাবে।
(ii) স্ত্রী: (ক) স্বামীর সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকলে স্ত্রী ১/৮ (আট ভাগের এক) অংশ পাবে।
(খ) সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকলে স্ত্রী ১/৪ (চার ভাগের এক) অংশ পাবে।
(গ) স্ত্রী একাধিক থাকলে সকলে একত্রে উপরে বর্ণিত পরিমাণ সম্পত্তিই পাবে।
(৪) কন্যাঃ(ক) পুত্র না থাকলে এবং কন্যা একজন হলে ১/২ (দুই ভাগের এক) অংশ পাবে।
(খ) পুত্র না থাকলে এবং কন্যা একাধিক হলে একত্রে ১/৩ (তিন ভাগের এক) অংশ পাবে।
(গ) পুত্র থাকলে কন্যা পুত্রের অর্ধেক অংশ (২ঃ১ অনুপাতে ) পাবে।
(৫) পুত্র: পিতা বা মাতার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে পুত্রের অংশ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। নির্দিষ্ট অংশীদারদের অংশ দেওয়ার পর সম্পত্তি অবশিষ্ট থাকবে তার পুরটাই পুত্র পাবে। মুসলিম আইন অনুসারে পুত্রের অংশ সীমাবদ্ধ করা হয়নি। তবে কন্যা থাকলে পুত্র ও কন্যা ২ঃ১ অনুপাতে সম্পত্তি পাবে।
(৬) পিতামহ:(ক) পিতা জীবিত থাকলে পিতামহ কোন সম্পত্তি পাবে না।
(খ) সন্তান ও পিতা জীবিত না থাকলে পিতামহ পিতার ন্যায় ১/৬ (ছয় ভাগের এক) পাবে।
(গ) মৃতের কন্যা থাকলে ও পিতা না থাকলে পিতামহ ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ পাবে।
(৭) মাতামহী:(ক) মাতা থাকলে মাতামহী বা মাতার মাতা সম্পত্তি পাবে না।
(খ) মাতা ও মাতার পিতা না থাকলে মাতামহী ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ পাবে।
(৮) পুত্রের কন্যঃ(ক) মৃতের পুত্র, কন্যা থাকলে পুত্রের কন্যা সম্পত্তি পাবে না।
(খ) পুত্র, কন্যা, পুত্রের পুত্র না থাকলে পুত্রের কন্যা একজন হলে ১/২ (দুই ভাগের এক) অংশ পাবে।
(গ) পুত্র/কন্যা, পুত্রের পুত্র না থাকলে পুত্রের কন্যা একাধিক হলে ১/৩ (তিন ভাগের এক) অংশ পাবে।
(ঘ) ১ কন্যা থাকলে, পুত্রের কন্যা এক বা একাধিক যাই থাকুক একত্রে ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ পাবে।
(৯) পূর্ণ বোন বা সহোদর বোন: ক (ক) মৃতের সন্তান থাকলে পূর্ণ বোন বাদ যাবে মৃতের মৃত ব্যক্তির পিতা জীবিত থাকলেও বোন বাদ যাবে।
(খ) সহোদর ভাই থাকলে সহোদর বোন ভাইয়ের সাথে ২ঃ১ অনুপাতে সম্পত্তি পাবে।
(খ) পিতা, মাতা, সহোদর ভাই ও সন্তান না থাকলে বোন ১/২ (দুই ভাগের এক) অংশ পাবে। বোন একাধিক হলে একত্রে ২/৩ (তিন ভাগের দুই অংশ) পাবে, বোন একাধিক হলে একত্রে ২/৩ (তিন ভাগের দুই) অংশ পাবে।
(গ) সকলের অংশ দেয়ার পর সম্পত্তি অবশিষ্ট থাকলে বোন অবশেষ অংশ পাবে।
(১০) বৈপিত্রেয় বোন: (ক) সন্তান/পুত্রের সন্তান/পিতা/ পিতার পিতা না থাকলে বৈপিত্রেয় বোন ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ, একাধিক হলে একত্রে ১/৩ (তিন ভাগের এক অংশ) পাবে।
(খ) বৈপিত্রেয় ভাই ও বৈপিত্রেয় বোন সমান হিস্যায় পাবে (২ঃ১ অনুপাতে নয়)।
(গ) মৃতের সন্তান থাকলে বৈপিত্রেয় বোন কোন সম্পত্তি পবে না।
(ঘ) মৃতের সন্তান পৌত্র, পিতা বা পিতামহ থাকলে বৈপিত্রেয় বোন কোন সম্পত্তি পবে না।
(১১) বৈপিত্রেয় ভাই: (ক) সন্তান/পুত্রের সন্তান/পিতা/ পিতার পিতা না থাকলে বৈপিত্রেয় ভাই ১ জন হলে ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ, একাধিক হলে একত্রে ১/৩ (তিন ভাগের এক অংশ) পাবে।
(খ) বৈপিত্রেয় ভাই ও বৈপিত্রেয় বোন সমান হিস্যায় পাবে (২ঃ১ অনুপাতে নয়)।
(গ) মৃতের সন্তান থাকলে বৈপিত্রেয় বোন কোন সম্পত্তি পবে না।
(ঘ) মৃতের সন্তান পৌত্র, পিতা বা পিতামহ থাকলে বৈপিত্রেয় ভাই কোন সম্পত্তি পবে না।
(১২) বৈমাত্রেয় বোন (পিতা এক মাতা ভিন্ন): (ক) সন্তান/পুত্রের সন্তান/পিতা/ পিতার পিতা/ সহোদর ভাই বা সহোদর বোন/বৈমাত্রেয় ভাই না থাকলে বৈমাত্রেয় বোন একজন হলে ১/২ (দুই ভাগের এক) অংশ, একাধিক হলে একত্রে ২/৩ (তিন ভাগের দুই অংশ) পাবে।
(খ) একজন মাত্র সহোদর বোন থাকলে বৈমাত্রেয় বোন (এক বা একাধিব যাই হোক) ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ পাবে।
(গ) বৈমাত্রেয় ভাই থাকলে বৈমাত্রেয় ভাই ও বৈমাত্রেয় বোন ২ঃ১ অনুপাতে সম্পত্তি পাবে।
(ঘ) বৈমাত্রেয় ভাই থাকলে বৈমাত্রেয় ভাই ও বৈমাত্রেয় বোন তার সঙ্গে আসাবা হবে।
এই সম্পর্কে আপনার আরও জানার থাকলে মন্তব্য করুন বা আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
(খ) মৃত ব্যক্তি নিঃসন্তান হলে এবং ১ জনের বেশি ভাই বোন না থাকলে মাতা ১/৩ (তিন ভাগের এক) অংশ পাবে।
(গ) মৃতের সন্তান না থাকলে, ভাই বোন না থাকলে েএবং মৃত ব্যক্তি পুরুষ হলে তার স্ত্রী ও পিতার অংশ দেয়ার পর অবশিষ্ট সম্পত্তির ১/৩ (তিন ভাগের এক) অংশ মাতা পাবে।
(ঘ) মৃত ব্যক্তি স্ত্রী হলে তার স্বামীর অংশ দেয়ার পর মাতা অবশিষ্ট সম্পত্তির পিতা ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ প্রাপক হবে।
(৩) (i) স্বামী: (ক) সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকলে স্বামী ১/৪ (চার ভাগের এক) অংশ পাবে।
(খ) সন্তান বা পুত্রে সন্তান না থাকলে স্বামী ১/২ (দুই ভাগের এক) অংশ পাবে।
(ii) স্ত্রী: (ক) স্বামীর সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকলে স্ত্রী ১/৮ (আট ভাগের এক) অংশ পাবে।
(খ) সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকলে স্ত্রী ১/৪ (চার ভাগের এক) অংশ পাবে।
(গ) স্ত্রী একাধিক থাকলে সকলে একত্রে উপরে বর্ণিত পরিমাণ সম্পত্তিই পাবে।
(৪) কন্যাঃ(ক) পুত্র না থাকলে এবং কন্যা একজন হলে ১/২ (দুই ভাগের এক) অংশ পাবে।
(খ) পুত্র না থাকলে এবং কন্যা একাধিক হলে একত্রে ১/৩ (তিন ভাগের এক) অংশ পাবে।
(গ) পুত্র থাকলে কন্যা পুত্রের অর্ধেক অংশ (২ঃ১ অনুপাতে ) পাবে।
(৫) পুত্র: পিতা বা মাতার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে পুত্রের অংশ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। নির্দিষ্ট অংশীদারদের অংশ দেওয়ার পর সম্পত্তি অবশিষ্ট থাকবে তার পুরটাই পুত্র পাবে। মুসলিম আইন অনুসারে পুত্রের অংশ সীমাবদ্ধ করা হয়নি। তবে কন্যা থাকলে পুত্র ও কন্যা ২ঃ১ অনুপাতে সম্পত্তি পাবে।
(৬) পিতামহ:(ক) পিতা জীবিত থাকলে পিতামহ কোন সম্পত্তি পাবে না।
(খ) সন্তান ও পিতা জীবিত না থাকলে পিতামহ পিতার ন্যায় ১/৬ (ছয় ভাগের এক) পাবে।
(গ) মৃতের কন্যা থাকলে ও পিতা না থাকলে পিতামহ ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ পাবে।
(৭) মাতামহী:(ক) মাতা থাকলে মাতামহী বা মাতার মাতা সম্পত্তি পাবে না।
(খ) মাতা ও মাতার পিতা না থাকলে মাতামহী ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ পাবে।
(৮) পুত্রের কন্যঃ(ক) মৃতের পুত্র, কন্যা থাকলে পুত্রের কন্যা সম্পত্তি পাবে না।
(খ) পুত্র, কন্যা, পুত্রের পুত্র না থাকলে পুত্রের কন্যা একজন হলে ১/২ (দুই ভাগের এক) অংশ পাবে।
(গ) পুত্র/কন্যা, পুত্রের পুত্র না থাকলে পুত্রের কন্যা একাধিক হলে ১/৩ (তিন ভাগের এক) অংশ পাবে।
(ঘ) ১ কন্যা থাকলে, পুত্রের কন্যা এক বা একাধিক যাই থাকুক একত্রে ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ পাবে।
(৯) পূর্ণ বোন বা সহোদর বোন: ক (ক) মৃতের সন্তান থাকলে পূর্ণ বোন বাদ যাবে মৃতের মৃত ব্যক্তির পিতা জীবিত থাকলেও বোন বাদ যাবে।
(খ) সহোদর ভাই থাকলে সহোদর বোন ভাইয়ের সাথে ২ঃ১ অনুপাতে সম্পত্তি পাবে।
(খ) পিতা, মাতা, সহোদর ভাই ও সন্তান না থাকলে বোন ১/২ (দুই ভাগের এক) অংশ পাবে। বোন একাধিক হলে একত্রে ২/৩ (তিন ভাগের দুই অংশ) পাবে, বোন একাধিক হলে একত্রে ২/৩ (তিন ভাগের দুই) অংশ পাবে।
(গ) সকলের অংশ দেয়ার পর সম্পত্তি অবশিষ্ট থাকলে বোন অবশেষ অংশ পাবে।
(১০) বৈপিত্রেয় বোন: (ক) সন্তান/পুত্রের সন্তান/পিতা/ পিতার পিতা না থাকলে বৈপিত্রেয় বোন ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ, একাধিক হলে একত্রে ১/৩ (তিন ভাগের এক অংশ) পাবে।
(খ) বৈপিত্রেয় ভাই ও বৈপিত্রেয় বোন সমান হিস্যায় পাবে (২ঃ১ অনুপাতে নয়)।
(গ) মৃতের সন্তান থাকলে বৈপিত্রেয় বোন কোন সম্পত্তি পবে না।
(ঘ) মৃতের সন্তান পৌত্র, পিতা বা পিতামহ থাকলে বৈপিত্রেয় বোন কোন সম্পত্তি পবে না।
(১১) বৈপিত্রেয় ভাই: (ক) সন্তান/পুত্রের সন্তান/পিতা/ পিতার পিতা না থাকলে বৈপিত্রেয় ভাই ১ জন হলে ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ, একাধিক হলে একত্রে ১/৩ (তিন ভাগের এক অংশ) পাবে।
(খ) বৈপিত্রেয় ভাই ও বৈপিত্রেয় বোন সমান হিস্যায় পাবে (২ঃ১ অনুপাতে নয়)।
(গ) মৃতের সন্তান থাকলে বৈপিত্রেয় বোন কোন সম্পত্তি পবে না।
(ঘ) মৃতের সন্তান পৌত্র, পিতা বা পিতামহ থাকলে বৈপিত্রেয় ভাই কোন সম্পত্তি পবে না।
(১২) বৈমাত্রেয় বোন (পিতা এক মাতা ভিন্ন): (ক) সন্তান/পুত্রের সন্তান/পিতা/ পিতার পিতা/ সহোদর ভাই বা সহোদর বোন/বৈমাত্রেয় ভাই না থাকলে বৈমাত্রেয় বোন একজন হলে ১/২ (দুই ভাগের এক) অংশ, একাধিক হলে একত্রে ২/৩ (তিন ভাগের দুই অংশ) পাবে।
(খ) একজন মাত্র সহোদর বোন থাকলে বৈমাত্রেয় বোন (এক বা একাধিব যাই হোক) ১/৬ (ছয় ভাগের এক) অংশ পাবে।
(গ) বৈমাত্রেয় ভাই থাকলে বৈমাত্রেয় ভাই ও বৈমাত্রেয় বোন ২ঃ১ অনুপাতে সম্পত্তি পাবে।
(ঘ) বৈমাত্রেয় ভাই থাকলে বৈমাত্রেয় ভাই ও বৈমাত্রেয় বোন তার সঙ্গে আসাবা হবে।
এই সম্পর্কে আপনার আরও জানার থাকলে মন্তব্য করুন বা আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন